লালগড়ের শতাব্দী প্রাচীন আর আজ বাড়ির পাশাপাশি ঐতিহ্য হলো-প্রাচীন পটের দুর্গা বা দেওয়ালি দুর্গা
 
                ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা বরাবরই নতুনের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। এছাড়াও বর্তমানে বিগত দেড় বছর ঘরবন্দি হয়ে এক প্রকার হাঁপিয়ে উঠেছে বহু মানুষ। সেই ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণ না করে আমাদের হাতের কাছেই অরন্যের রানী ঝাড়গ্রামে অনেকেই ঘুরতে যান। তবে এই জঙ্গলে সমারোহে ঘেরা অঞ্চলটিতে জনপ্রিয় স্থান হতে লালগড়।
লালগড় নাম শুনলেই একটা ঐতিহাসিক ভাব ফুটে ওঠে। যদিও এটি ইতিহাস বহন করে চলেছে বহু বছর ধরে। লালগড়ে কংসাবতী নদীর তীরে অবস্থিত রাজবাড়ী যেটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। লালগড়ের শতাব্দীপ্রাচীন আর আজ বাড়ির পাশাপাশি ঐতিহ্য হলো-প্রাচীন পটের দুর্গা বা দেওয়ালি দুর্গা। এছাড়াও অন্যতম রয়েছে রাধামোহন জিউয়ের মন্দির। প্রতিবছর নিয়ম মেনেই সাবেকি ধাঁচের মা দুর্গার আরাধনা করা হয়। আবার দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বিকালে আদিবাসীদের পাতা নাচের আসর বসে।
লালগড়ে যাওয়াও সোজা ব্যাপার। কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম বা মেদিনীপুর বাস ও ট্রেন উভয় পথেই যাওয়া যায়। আজহার গ্রাম পৌঁছানোর পর সেখান থেকে লালগড় যেতে লাগে প্রায় ২০ মিনিট। অন্যদিকে আবার মেদিনীপুর থেকে লালগড়ের দূরত্ব পড়বে ৪০ কিমি। সেই ক্ষেত্রে বাস বা ছোট গাড়ি ভাড়া করেও লালগড়ের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়া যায়।
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                        